অন পেজ এসইও কি? কিভাবে অন পেজ এসইও করবেন?

প্রতিটা বিষয়ের নির্দিস্ট কতগুলো পার্ট থাকে। ঐ বিষয়টি সম্পূর্ণ জানার জন্য প্রতিটা পার্ট ভালোভাবে জানতে হবে। ঠিক তেমনি এসইওতে অনেক চেকলিস্ট আছে৷ যেগুলো না জানলে আপনি এসইও সম্পূর্ণভাবে জানবেন না। এই আর্টিকেল এ আমি অন-পেজ এর চেকলিস্ট গুলো শেয়ার করেছি৷ চলুন জেনে নিই অন-পেইজ এসইও চেকলিস্ট গুলো।

টাইটেল এ মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।

যেকোন একটা কনটেন্টকে রেংক করানোর জন্য টাইটেল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টাইটেলটা যদি সঠিকভাবে না দেন তাহলে আপনার কনটেন্ট গুলো রেংকিং এ আসবে না। আর আপনার কিওয়ার্ড টাই যদি টাইটেল এ না থাকে তাহলে আপনার কনটেন্টটা খুজেঁ পাবে কিভাবে। এজন্য আপনার মেইন কিওয়ার্ডটাই টাইটেল এ দিতে হবে। যেমন: আপনার মেইন কিওয়ার্ড যদি হয় “Learn SEO” তাহলে আপনি টাইটেল এ

  • Learn SEO within 7 days
  • Best way to learn SEO
  • Complete guide to learn SEO.

এভাবে মেইন কিওয়ার্ড ব্যবহার করে টাইটেল দিতে হবে। 

টাইটেল ৬০ কারেক্টার এর মধ্যে রাখা।

গুগলের নিয়ম অনুযায়ী টাইটেল ৬০ কারেক্টার এর মধ্যে রাখতে হবে। যদি এর বেশি দেন তাহলে সেটা প্রথম পেইজে পুরোপুরি দেখায় না। টাইটেল এর শেষে …. আসে। ভিজিটর যখন সেটা পড়ে পুরোপুরি বুঝতে পারে না। যারফলে সে ক্লিক ও করে না। এজন্য টাইটেল ৬০ কারেক্টার এর মধ্যে দিতে হবে।

হেডিং এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।

কনটেন্ট এর মধ্যে আমরা অনেক h2, h3 এর হেডিং ব্যবহার করি। যেগুলোতে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই গুগলের বট সহজেই আপনার কনটেন্টটি সম্পর্কে জানতে পারবে এবং রেঙ্কিং এ দিবে।

মেটা-ডেসক্রিপশন এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।

আমরা মেটা-ডেসক্রিপশন ব্যবহার করি গুগলের বট সেটা চেক করে। আর সেখানে যদি কিওয়ার্ড না পায় তাহলে গুগল সঠিকভাবে বুঝতে পারবে না আর্টিকেলটি কি সম্পর্কে। এরপর এটিকে রেঙ্কিং ও দিবে না। তাই অবশ্যই মেটা-ডেসক্রিপশন এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে।

মেটা-ডেসক্রিপশন ১৫০ ওয়ার্ড এর মধ্যে রাখা।

গুগলের নিয়ম অনুযায়ী মেটা-ডেসক্রিপশন ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে রাখতে হবে। আর যদি ১৫০ ওয়ার্ডের বেশি দেন তাহলে সেটা গুগলের সার্চ ইজ্ঞিন পেইজে দেখাবে না। এজন্য মেটা ডেসক্রিপশন ১৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে রাখতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি? Digital Marketing bangla guideline

কনটেন্ট এর প্যারাগ্রাফ গুলো ছোট ছোট করে রাখা।

কনটেন্ট এর রিডেবিলিটি বাড়াতে। গ্রাহকদের মনযোগ বাড়াতে আর্টিকেল এর প্যারাগ্রাফ গুলো ছোট করে রাখা। এতে আপনার আর্টিকেলটির এসইও বৃদ্ধি পাবে। গ্রাহকরা সহজভাবে পড়তে পারবে৷ গুগল ও সহজে রেঙ্কিং দিবে।

ইউআরএল এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করা।

কনটেন্টকে আরো বেশি এসইও ইনফরমেটিভ করতে, রেঙ্কিং বাড়াতে ইউআরএল এ কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। তবে অতিরিক্ত নয় শুধু একবারই ব্যবহার করবেন এবং ইআরএল কে যতটুকু সম্ভব ছোট করে রাখবেন।

ইমেজ অপ্টিমাইজড করা।

কনটেন্ট এর মধ্যে যে ইমেজ গুলো ব্যবহার করবেন সেগুলো অবশ্যই অপ্টিমাইজড করে নিতে হবে। সাইজ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। এ্যলট ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে৷ ফরমেট সঠিকভাবে দিতে হবে।  একটা ইমেজ যদি সঠিকভাবে অপ্টিমাইজড করে ব্যবহার করেন তাহলে দেখবেন সেটাও গুগলের ইমেজ এ রেঙ্ক করবে।

ইমেজ সাইজ ছোট করা।

একটা আর্টিকেল বা ওয়েবসাইটের পেইজ এক বা একাধিক ইমেজ ব্যবহার করা হয়। আর এই ইমেইজ গুলো যদি সাইজ কমানো না থাকে তাহলে পেইজটি লোড নিতে অনেক সময় লাগবে। এতে ভিজিটররা বিরক্ত বোধ করবে। এজন্য যেকোন ছবি ব্যবহার করার আগে সেটাকে কমপ্রেসার সাইট থেকে ছবি গুলোর সাইজ কমিয়ে এনে এরপর সেটাকে সাইটে ব্যবহার করুন। তাহলে সহজেই সেগুলো লোড নিতে পারবে।

ইমেজ এ এ্যলট ট্যাগ ব্যবহার করা।

ইমেজ এর এসইও এর ক্ষেত্রে এ্যলট ট্যাগ গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এ্যলট ট্যাগ ব্যবহার করলে গুগলের বট বুঝতে পারে ছবিটি কি সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে৷ এবং সেটাকে গুগলের ছবি সেকশন এ যুক্ত করে দিবে। এজন্য ছবি ব্যবহারের সময় সেটার এ্যলট ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

কিওয়ার্ড ডেনসিটি না করা।

এসইও এর ক্ষেত্রে এটা আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ আমরা অনেকেই মনে করি যতবেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করব ততবেশি রেঙ্ক পাবো। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভুল। সঠিক নিয়ম অনুযায়ী ১০০০ শব্দের আর্টিকেল এর মধ্যে সর্বোচ্ছ ৩-৫ বার কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবে। এর থেকে বেশি ব্যবহার করলে সেটা কিওয়ার্ড ডেনসিটিতে পড়ে যাবে। গুগলের রোবট যখন সেটা বুঝতে পারবে তখন আপনার কনটেন্ট টাকে কখনো রেঙ্কিং দিবে না।

ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করা।

কনটেন্ট এর নির্দিস্ট টেক্সট সাথে ওয়েবসাইটের যেকোন পেইজ বা কনটেন্ট কে লিংক করানোই হল ইন্টারনাল লিংকিং।

আপনার আর্টিকেল এ বিভিন্ন টেক্স এর সাথে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন কনটেন্ট এর লিংক করে দিবেন। তাহলে গ্রাহক সহজেই ঐ লিংক এ ক্লিক করে সেই পেইজটাতে যেতে পারবে। এতে গ্রাহক অনেক্ক্ষণ ধরে আপনার সাইটে থাকবে৷ যেটা রেংকিং এ অনেক বেশি সাহায্য করবে। তবে অতিরিক্ত করবেন না। প্রয়োজন অনুযায়ী করুন।

যেমনঃ আপনি যদি এসইও গাইডলাইন টি না পড়ে থাকেন তাহলে এখনি পড়ে আসুন কমপ্লিট এসইও বাংলা গাইডলাইন।

এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করা।

ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর টেক্সট এর সাথে বাইরের সাইটের বা পেইজের সাথে লিংক করানোই হল এক্সটার্নাল লিংকিং। যেটাকে আউট বাউন্ড লিংক বলে। এক্সটার্নাল লিংকিং ওয়েবসাইটের অথোরিটি বাড়াতে এবং রেংকিং পেতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপনার কনটেন্ট এর বিভিন্ন টেক্সট এর সাথে বাইরের সাইটের লিংককে লিংকিং করুন।

যেমনঃ Backlinco blog যেটাকে আমি সবসময় অনুসরণ করি।

তবে সঠিক নিয়মে করবেন। আপনি লিংক করলেন এসইও এর সাথে। লিংক এ ক্লিক করলে যাই অন্য একটা স্প্যাম পেইজে। এটা করা যাবে না।

আজকে এই পর্যন্ত, ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ🤗

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button